সর্বশেষ

'বিভিন্ন দূতাবাসে পাঠানো হচ্ছে পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও'

প্রকাশ :


/ পুলিশ / ফাইল ছবি

২৪খবরবিডি: 'বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় সবগুলো ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের নিজস্ব ক্যামেরায় তোলা ভিডিও একত্রিত করে তা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। পুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা করা হয়।' 'ইটপাটকেল নিক্ষেপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে বেধড়ক ও নির্দয়ভাবে পিটিয়ে আহত করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।'
 

'এতে আমিরুল ইসলাম পারভেজ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল মারা যান। এছাড়া রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের সামনে আরেক পুলিশ সদস্যকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে ও মাথার হেলমেট খুলে ইট দিয়ে মুখমণ্ডল থেঁতলে দেওয়া হয়। এমনকি একটি লাঠির মাথায় আগুন জ্বালিয়ে ফুটপাতে পড়ে থাকা ওই পুলিশ সদস্যের গায়ে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পাশের একটি ভবন থেকে এই দৃশ্য ধারণ করেন এক ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিও সংগ্রহ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নৃশংসতা বিদেশি দূতাবাসগুলোর কাছে তুলে ধরা হবে। সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের কাছে এসব ভিডিও এবং ছবি ও এর বর্ণনা ডকুমেন্টারি আকারে তৈরি করে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি ইউনিট ডকুমেন্টারিগুলো বানানো শুর ু করেছে। পুলিশ সূত্র জানায়, বিদেশি দূতাবাসগুলো থেকে সবসময় পুলিশের মারমুখী আচরণের সমালোচনা করা হয়। কিন্তু পুলিশ ত্বরিত ব্যবস্থা না নিলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি কেমন হয় এবং পুলিশ সদস্যরা যে মারধরের শিকার হন তা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দেখানো হবে। একইসঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগীরা যে ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে তাও তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। এজন্য গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংগৃহীত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মালিবাগ ফ্লাইওভারের ওপর বলাকা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিচ্ছেন যুবদল দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন ও তার সহযোগীরা। রবিউলকে ধরতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল। পুলিশ জানায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা এত সহিংসতা করতে পারে, এটা তারা কল্পনাও করতে পারেননি। যদিও সংঘর্ষ বা সহিংসতার শঙ্কা বিবেচনা করেই পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের আগ বাড়িয়ে কোনও সংঘর্ষে লিপ্ত না হওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনাও ছিল।'


'এ কারণে কাকরাইলের প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার কারণে পুলিশ সদস্যরা কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়ে। পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সহিংসতা বা সংঘর্ষ হবে ধরে নেওয়ার কারণে পুলিশের এত সদস্য মারধরের শিকার হতে হয়েছে। প্রস্তুতিরও কিছুটা ঘাটতি ছিল। এছাড়া গোটা রাজধানীতে পুলিশ মোতায়েন করার কারণে নয়াপল্টনকেন্দ্রিক পুলিশের সংখ্যাও কিছুটা কম ছিল। এ কারণে ছোট ছোট দলে থাকা পুলিশ সদস্যরা লাখ লাখ মানুষের প্রতিরোধের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হয়।

'বিভিন্ন দূতাবাসে পাঠানো হচ্ছে পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও'

এই সুযোগে পিছিয়ে পড়া বা একা হয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা মারধরের শিকার হন। ঢাকা মহানগর পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, প্রথম থেকেই পুলিশ সদস্যরা অনেক ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু এত বেশি পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হওয়ার কারণে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষও দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন, যথাযথ নির্দেশনার অভাবে পুলিশকে মার খেতে হয়েছে। তা না হলে পুলিশের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা টিকতে পারতো না।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত